বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি॥ অফিসের সামনে সুন্দর করে লেখা- আমি এবং আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত। কিন্তু ভেতরে দেদার চলছে ঘুষের কারবার। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ডেলিভারি অর্ডার তৈরির ক্ষেত্রে বাউফল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যেক ডিলারের কাছ থেকে ১০০০ টাকা হারে উৎকোচ নেয়ার পরই ডেলিভারি অর্ডার দেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির জন্য বাউফল উপজেলায় মোট ৪০ জন ডিলার রয়েছেন। আর এ কর্মসূচির সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১৯ হাজার ২৩২ জন। প্রত্যেক ডিলার ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে চালের মূল্য পরিশোধের পর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কাছ থেকে ডেলিভারি অর্ডার নিয়ে থাকেন। ওই ডেলিভারি অর্ডার নেয়ার ক্ষেত্রেই প্রত্যেক ডিলারকে ১০০০ টাকা হারে উৎকোচ দিতে হচ্ছে।
ধুলিয়া ইউনিয়নের আলমাস হাওলাদার, মদনপুরা ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিন ও নাজিরপুরের সিরাজ মেম্বারসহ একাধিক ডিলার বলেন, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার নামে অফিস সহকারীরা ১০০০ টাকা হারে উৎকোচ আদায় করছেন। এছাড়া খাদ্যগুদাম থেকে চাল ডেলিভারি নেয়ার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়।
অবশ্য উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমার নামে অফিসের কেউ টাকা নিলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আমার কাছে ডিলাররা কোনো ধরনের অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply